নিহত তারেক আহমদের লাশ উত্তোলন করতে পারেনি প্রশাসন।
লাশ উত্তোলন করতে যাওয়া বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে আমরা লাশ উত্তোলনে গিয়েছিলাম। কিন্তু নিহতের পরিবারের সদস্যদের আপত্তিতে ফিরে আসি। আমরা বিষয়টি আদালতে অবহিত করবো।
তিনি আরো জানান, আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ে গেলেই লাশ উত্তোলন সম্ভব নয়। তারেকের লাশ উত্তোলনের বিষয়টি অতি স্পর্ষকাতর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুল্লাপুর ইউনিয়নের কটুখালিরপার গ্রামে নিহতকে দাফন করা কবরস্থান থেকে ফিরে আসেন ম্যাজিষ্ট্রেট। নিহত তারেকের পরিবারের সদস্যদের জোর আপত্তিতে ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফিরে আসতে বাধ্য হন।
ছেলে তারেক আহমদ নিহতের ঘটনায় মা ইনারুন নেছা বাদী হয়ে ২০ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর দু’দিন পর মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি পৃথক আরেকটি আবেদন করেন। তবে আদালত মামলা এবং প্রত্যহারের দু’টি আবেদনই থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় উল্লাসকালে বিয়ানীবাজারে মোট ৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে গত ১লা আগস্ট একজন নারায়নগঞ্জে (বাড়ি চারখাই) এবং অপর তিনজন ৫ আগস্ট নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রায়হান আহমদকে তার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় দাফন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহাব উদ্দিন জানান, তারেক হত্যা মামলায় চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। অপর আসামীদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।