শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমিয়ে আনাসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ।
মানববন্ধন শেষে এসব দাবি বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন করে এ তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আসাদুল্লাহ আল গালিব, ফয়সাল হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, মাহাবুল ইসলাম পবন ও মোহাম্মদ আলী সুমন প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো- যৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, পোষ্য কোটাসহ সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে ও আগামী ২ সেমিস্টার ৪ মাস করে শেষ করতে হবে।
ফয়সাল বলেন, ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি ফি ছিল ৮১০০ টাকা। তিন বছরের ব্যবধানে ২০২৩-২৪ সেশনে সেটি ১৮ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। এ ভর্তি ফি বাড়ানো কোনোভাবে যৌক্তিক হতে পারে না। ২০২০-২১ সেশনে তত্ত্বীয় অংশে ক্রেডিট ফি ছিল ১০৫ টাকা সেটা এখন ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকিয়েছে। এটা অযৌক্তিক। অতি দ্রুত এসব ফি কমিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। অথচ এখনো শাবিপ্রবিতে পোষ্য কোটার মতো তেলা মাথায় তেল দেওয়া কোটা বিদ্যমান রয়েছে। এ বৈষম্যমূলক কোটা দ্রুত বাতিল করা হোক। তা না হলে, আমরা এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আবারও রুখে দাঁড়াবো।
আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম তারা শিক্ষার্থী বান্ধব হয়ে উঠবে। বোমা ফরিদের (সাবেক উপাচার্য) মতো তারা আচরণ করবে না, তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে না, তাদের মতো শিক্ষার্থীদের দূরে ঠেলে দেবে না, কোনো ধরনের শিক্ষার্থী অবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে না। কিন্তু আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবি নিয়ে যাওয়ার পরও এ প্রশাসন কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না।
তারা আগের প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তগুলো সেগুলো এখন পর্যন্ত বাতিল করে নি। আগের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি অযৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করেছিল। আমরা বর্তমান প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে এসব ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।