তিস্তা ইস্যুতে খোলামেলা অবস্থানে সরকার বলেছেন,পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন । এ ক্ষেত্রে ভারত এবং চীনের সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব। কোনোটাতে কোনো বাধা নেই।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বেইজিং সফর করেছেন। ওই সফরে তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলোকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকক সফরে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। সেখানেও আলোচনার টেবিলে ছিল তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু। এ ক্ষেত্রে কোনটার অগ্রগতি বেশি, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চীন সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চীনে কিছু কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে অন্যান্য পর্যায়ে সম্পর্ক আগানো সহজ হয়। দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু কাগজপত্র সই হয়েছে। আমার মনে হয়, সফরটি মোটামুটিভাবে একটি প্রভাব রাখতে পেরেছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা ঝট করে কোনো কিছু প্রত্যাশা করছি না যে, কালকেই কেউ তিস্তা সমস্যার সমাধান করে দেবে। চীনের সঙ্গে আমাদের একটি আমব্রেলা চুক্তি আছে নদীর পানি নিয়ে। নদীর পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার জন্য এবং আমাদের জন্য বিশেষ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সম্ভব। কোনোটাতেই বাধা নেই। আমা দেখব যে, কোন প্রজেক্টে কোথা থেকে সহায়তা নিলে আমাদের সুবিধা হবে। সে অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করবে।