ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষ হত্যায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর কলাবাগানের মুসলিম জনতা।
সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল টি রুপ নেয় পুরোটা বাজার জুড়ে। সকলের মুখে একটাই স্লোগান ফিলিস্তিনের উপর বরর্বতা বন্ধ করতে হবে, ইজরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাব জাতিসংঘকে দিতে হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মিছিলের সহীত হাতে প্লেকার্ড ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় কলাবাগান বাজারে।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অমানবিক এ ঘটনায় নিহত ফিলিস্তিনিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আরো বলেন, গত অর্ধ শতাব্দীর ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনের ভূমি অবৈধভাবে দখল করে জন্ম নেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ইসরায়েলের সন্ত্রাসী বাহিনী বর্বরোচিতভাবে এবারও নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। বিশেষত ফিলিস্তিনের জনগণকে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনে বাধা প্রদান, হামলা চালিয়ে নির্বিচারে নারী-শিশুসহ সাধারণ জনগণকে হত্যা, ফিলিস্তিনের স্বাধীন জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের মতো কার্যক্রম স্পষ্টতই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড। বরাবরের মতো ইসরায়েলের এমন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পরও তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বৃহৎ সংগঠন ও আরব দেশগুলো এ ঘটনায় দুঃখজনকভাবে নির্বিকার। সংগঠনগুলো মানবতাবিরোধী এ অপরাধ কার্যক্রমের দায়সারা নিন্দা জানিয়েই দায়িত্ব পালন করছে এবং কার্যত কোন ভূমিকা নিতে ব্যর্থ।
নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রান্স বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে ইসরাইলের এসব হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর আহ্বান ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান এবং ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের জন্য বিশ্ববাসীকে আহবান জানান। পরে হাফিজ মোশাহিদ আলীর সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি করা হয়।
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিদের জনগণের প্রতি ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আরবসহ পুরো বিশ্বের সাধারণ জনগণ অকুণ্ঠ সমবেদনা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং তাদের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা বিশ্বের কতিপয় শাসক গোষ্ঠী অনেকটাই যেন বর্ণবাদী, সাম্রাজ্যবাদী ইসরাইলের সমর্থক।