
রাইজিংসিলেট- থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন হাসপাতালে অবস্থান করাকে আইনসঙ্গত হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সেই সময়কাল দীর্ঘ করেছেন। ফলে তাঁকে কারাগারে ফিরে যেতে হবে।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত থাকা তাঁর একজন রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, থাকসিন রায় মেনে নিয়েছেন এবং পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রায় কার্যকর করার অংশ হিসেবে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেবে এবং তাঁকে ব্যাংককের রিমান্ড কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
থাকসিনের কন্যা এবং সদ্য অপসারিত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা রাজকীয় ক্ষমার জন্য থাইল্যান্ডের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, আট বছরের সাজা এক বছরে নেমে আসা তাঁদের পরিবারের জন্য স্বস্তির বিষয়। তিনি জানান, থাকসিন দেশের জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও ইতিহাস তৈরি করেছেন, এবং এবার তিনিই প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কারাগারে যাচ্ছেন।
এর আগে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর একটি নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত মামলায় তাঁকে পদচ্যুত করে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত।
থাকসিন ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশ ত্যাগ করেন। অনুপস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগে মামলা চলে এবং ২০২৩ সালে দেশে ফিরে তিনি আট বছরের সাজায় দণ্ডিত হন। পরে রাজকীয় ক্ষমায় সেই সাজা এক বছরে কমানো হয়। যদিও তিনি প্রায় ছয় মাস একটি হাসপাতালের বিশেষ কক্ষে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পান।
নতুন এই রায় দেশটির রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু থাকসিন নয়, তাঁর দল এবং থাইল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।