ওসি মামলা করছেনা কেন?
সিলেট দক্ষিন সুরমার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের যমুনা মার্কেটের পিছনে নজরুল, রাজন মোল্লা, আল আমিন আর মিতালী বাস শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে বিশাল তিনটি জুয়ার আসর চলে দীর্ঘ দিন থেকে।
এবার সেই জুয়ার আসরটি ৫ তারিখ রাতে বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি, ট্রার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। হামলার শিকার হওয়ার পর রাতেই গোপনে ফাঁড়ির আইসিকে হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
সূত্র বলছে, ওসিও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় জুয়াড়িরা পুলিশের একটি গাড়িও ভাংচুর করে। পরে প্রাণ রক্ষায় ওসিকে ফাঁড়ির অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে থানার ওসিকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যান ওসি-আইসির সঙ্গে থাকা অপর পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনার পর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যকে হামলা করতে তাড়া করে নিয়ে যায় জুয়াড়িরা।কিন্তু ৫ জানুয়ারী ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত মামলা করতে পারিন নি দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
এটার পিছনের রহস্যটা কি?
এ রকম আরো প্রায় অর্ধশত জুয়ার বোর্ড সিলেট নগরীর এসএমপি এলাকায় চলছে। এক সময় মহানগরীর সকল জুয়ার বোর্ড বন্ধ হয়ে যায় এসএমপি ডিবির অভিযানে। কিন্তু এই জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন সাবেক ডিবির ডিসি ও এডিসি। সে সময় ডিবি পুলিশও ভালো বাণিজ্য করে ১৫ আটক করলে ১০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিতো বাকি ৫ জনকে কোর্টে চালান করতো। টার্মিনালের সেই হামলার ঘটনায়ও কোন মামলা করতে পারেননি তখনকার ডিসি ও এডিসি।