raising sylhet
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দখল থেকে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা বাগান উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শিল্পপতি রাগীব আলীর দখল থেকে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা বাগান উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন। উদ্ধারের পর সাড়ে ৫০০ একর এলাকাজুড়ে থাকা চা বাগানটির দখল সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হাজার কোটি টাকার এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন রাগীব আলীর দখলে ছিল। তারাপুর চা বাগান নিয়ে আদালত থেকে মামলার রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেবায়েতের হাতে বাগানের জমি তুলে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রি করা ওই জমিতে গড়ে উঠছে পাকা ঘর। কোনো কোনো বাগানের জমি উদ্ধার করা হলেও নতুন করে কিছু জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। এখন সেখানে কৌশলে চলছে নানা কর্মকাণ্ড।

গত ৮ বছর ধরে চা বাগানটি প্রশাসনের দায়িত্বে থাকলেও তারাপুর চা বাগানের জমি দখল ও বিক্রি। অবশেষে দখল ও বিক্রি হওয়া চা বাগানের জমি উদ্ধারে মাঠে নামছে প্রশাসন।

Advertisements

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারাপুর চা বাগানের আশপাশে রয়েছে খাসজমি। অনেকেই এসব খাসজমিতে বাস করছেন বহুদিন ধরে। আবার অনেকে টিলা কেটে তৈরি করছেন বসবাসের জায়গা। বাগানের জায়গা বেচা বিক্রি করতে এসব এলাকায় গড়ে তুলেছে বিশাল সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরাই সরকারের খাসজমির পাশাপাশি বিক্রি করে ফেলছে চা বাগানের জমি। অবশেষে তারাপুর চা বাগানের জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন।

তারাপুর চা বাগানের ম্যানেজার ও কোওর্ডিনেটর রিংকু চক্রবর্তী জানান, তারাপুর চা বাগান সাড়ে ৫০০ একর এলাকাজুড়ে থাকলেও কাগজে কলমে আছে সাড়ে ৩০০ একর। এর মধ্যে বাগনের দখল আছে ১৫০ একরের মতো। বাগানের অনেক জায়গা দখল ও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি করা ওই জমিতে গড়ে উঠছে পাকা ঘর। দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে গেলে অনেক সময় বাধার মুখে পড়তে হয়। তবে জেলা প্রশাসন চা বাগানের জমি দখলমুক্ত উদ্যোগ নিয়েছেন। সে লক্ষ্যে বুধবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে অবৈধ দখলদারের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছেন। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য নতুনভাবে তালিকা তৈরি করেছেন। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই তারাপুর চা বাগানের জমি দখলমুক্ত করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ম্যাজিস্ট্রেট ও অপারেশন টিম বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে সরেজমিনে অবৈধ দখলদারের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছেন।এ সময় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য নতুনভাবে তালিকা তৈরি করন। এছড়া রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং বাগানের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্দেশ্যে নির্মিত দোকান কোটা তৈরিতে বাধা দানকারী ও বাগানের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য বাগান পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- এডিসি রেভিনিউ, সরহকারি কমিশনার ভূমি সদর, সরকারি কমিশনার ভূমি মহানগর, ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জালালাবাদ থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং কোতোয়ালি থানা কর্মকর্তাবৃন্দ।

২৮ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।