দিরাইয়ের বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখা গেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। বিপণিগুলোতে বাড়ছে ভিড়। তবে ঈদের আগেই বৈশাখের কাজ শুরু হওয়ায় জমে উঠা ঈদের কেনাকাটার প্রভাব ফেলেছে।
সরেজমিন দিরাই পৌরসভার সেন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। অতিরিক্ত কাঠফাটা গরমের মধ্যেও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে ক্রেতারা। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের পোশাক, জুতা, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন জিনিস কিনছেন। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পদচারণায় জমে উঠেছে মার্কেট এলাকা। তবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান বৈশাখের কাজ যত বাড়ছে মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা তত কমে আসছে।
রুপালী ফ্যাশনের পরিচালক শচীন কুমার দাস বলেন, বেচাকেনা মোটামোটি ভালই। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী খোকন রায় বলেন, বড় বড় দোকান গুলোতে বেচাকেনা ভাল হলেও আমরা তাদের তুলনায় অনেকটা কম বিক্রি করছি।
তিনি বলেন, বৈশাখের কাজের চাপে ক্রেতাদের পরিমান কমে আসছে।
সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী মিন্টু তালুকদার বলেন, মোটামুটি ভালই বিক্রি হচ্ছে।প্রতিদিন ৪০/৫০ হাজার টাকার মত বিক্রি হচ্ছে।কিন্তু ঈদের শেষ মুহূর্তের মার্কেটে বৈশাখের কাজের জন্য বেচাকেনা অনেকটাই কমে আসবে বলে তিনি জানান।
এদিকে পৌরসভার মধ্যবাজারে ঘুরে দেখা যায়, শাড়ী বিতান, রামকৃষ্ণ বস্ত্রালয়, সুজিত বস্ত্রালয়, নাবিল ফ্যাশন, অজিত বস্ত্রালয়, মুরাদ বস্ত্রালয়, নুর শাড়ী সেন্টার, বিশ্ব বস্ত্র ও রীনা ফ্যাশনে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও সেন মার্কেটের তুলনায় অনেকটা কম।
ব্যবসায়ী বিপ্লব দাস বলেন, হাওরে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েগেছে এবাজারে ক্রেতাদের একটা বড় অংশ কৃষক পরিবার। তাড়ল, জগদল, করিমপুর ইউনিয়নের কৃষি কাজে জড়িত পরিবারের সদস্যরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ক্রেতাদের তেমন একটা উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।