সাবেক সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এর আগে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠায় মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এ সময় আদালত চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সহ বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে। প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর সময় দূর্জয়কে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারে। আদালতে তোলা হলে বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তার রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি হুমায়ন কবির।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করার অস্ত্রের যোগানদাতা ছিল নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তার আশ্রয়-প্রশয়ে ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রজনতার ওপর গুলি বর্ষণ করে। বিস্ফোরক আইনের মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশনা দেয়।
আসামির পক্ষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বাদশাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।
তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকারিগর, বালুমহালে কেলেঙ্কারি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকুরী বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকেন তিন। গতকাল বুধবার রাত ১১টায় ঢাকার লালমাটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুর থানার দুটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর এবং শিবালয় উপজেলা নিয়ে মানিকগঞ্জ-১ নির্বাচনী আসন গঠিত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার টিকিটে সংসদ সদস্য হন দূর্জয়।