দ্রুত বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার ও খাদ্য সংকট মোকাবেলা এগিয়ে এসেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন’র নির্দেশে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম পিপিএম’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সদস্যরা চলতি বছরের প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা বন্যায় গত ৪ দিন ধরে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সাধারণ মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।
সেই সাথে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ এবং বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ জুন) গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম পিপিএম’র নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদী হাসান সহ গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি টিম রান্না খাবার নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হন।
বুধবার বিকেলে উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের হাদারপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের কুপার বাজার উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আড়াই শতাধিক বন্যার্ত মানুষের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন ভাবে আশ্রিত আরো শতাধিক মানুষের মাঝে থানার পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় আশেপাশের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে তৈরি করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম পিপিএম বলেন, সিলেটের মান্যবর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন’র সার্বিক দিক নির্দেশনায় গোয়াইনঘাট উপজেলার বানভাসি মানুষের উদ্ধার তৎপরতায় কাজ করছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। পাশাপাশি গোয়াইনঘাটের ১ম ও ২য় দফা আকস্মিক বন্যায় বানভাসি মানুষের মাঝে দেড় হাজার প্যাকেট রান্না খাবার ও ১২শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের রান্না খাবার বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য সুবাস দাস সহ রুস্তুমপুর ও বিছনাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।