বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেছেন- ২০২০ সালে শুরু হওয়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প প্রথম পর্যায়ের কাজ এখন ও সাড়ে ২২ ভাগ শেষ হয়েছে যা অপ্রত্যাশিত সত্যি। তবে ছাত্র-জনতা আমাদেরকে একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। আশা করছি- এখন সকলের সহযোগিতায় অনেক কিছুই করতে পারবো, দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। অর্ন্তবর্তাকালীন সরকারের নির্দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা শুরু করছি। এর মধ্যে একটি ওসমানী বিমানবন্দরের কাজ। শুরুর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি তরান্বিত হবে এরআগে কী হয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না, তবে এখন থেকে এই কাজের জবাবদিহিতা থাকবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া আরও বলেন- এটাও ঠিক যে, বিভিন্ন জটিলতায় ওসমানী বিমানবন্দরে সম্প্রসারণের কাজ আটকে ছিলো। কিছু জমি এখনো আমাদের হাতে আসেনি, তবে শিগগিরই অধিগ্রহণ করা হবে যার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এছাড়া ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছু ইনডিফারেন্স ছিলো, ইতোমধ্যে তা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে উন্নত দেশগুলোর মতো একটি অত্যাধুনিক এয়ারপোর্টে পরিণত হবে ওসমানী বিমানবন্দর। বর্তমানে এ এয়ারপোর্টে বছরে যাত্রী সেবা ক্ষমতা ৬ লক্ষ, সম্প্রাসারণ কাজ শেষে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ লক্ষে। বর্তমানে কার্গো সেবা ক্ষমতা বছরে ৪০ হাজার টন, পরে তা হবে ১ লক্ষ টন। আমরা জানি- সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এরিয়া, সম্প্রসারণ শেষে বিভিন্ন দেশে থাকা সিলেটি প্রবাসীরাসহ এ বিমানবন্দরে আসা সবাই পাবেন একটি অত্যাধুনিক এয়ারপোর্টের সকল সুবিধা।
ওসমানী বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ তদারকির জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন- সকল অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিট গঠন করা হবে। যাতে কোনো ডিসট্যান্স বা গ্যাপ তৈরি হলে তারা দ্রুত সে তথ্য আমার কাছে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছায়। যাতে তা ত্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসণ করা হয়। এছাড়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের একটি টিম আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তারাও আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতেও করবেন।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনও করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য গত ২০২০ এর অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে উদ্ভোদন হওয়া কাজের চুক্তি মূল্য ছিলো ২১১৬৫১.১০ লক্ষ টাকা যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সনের ৩১শে ডিসেম্বর। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিযুক্ত হয় চিনের ‘বেইজিং উরবান কনস্ট্রাকশন’ গ্রুপ, ডিজাইন পরামর্শক কুরিয়ার ‘ইওশিন-হেরিম জেভি’ এবং সুপারভিশন পরামর্শক হিসেবে রয়েছে ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।