সিলেটে দুই দফায় আটকে রেখে তরুণী ধর্ষণ মামলা দায়েরের তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো অধরা রয়ে গেছেন তারা।
ধর্ষণ মামলার তিন আসামীর মধ্যে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
পুলিশ বলছে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৯ মার্চ রাতে কোতোয়ালী থানায় নির্যাতিতা তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দেয়।
মামলার আসামীরা হলেন- সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে ও ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুস সালাম (৪০), লালাদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার ইশাদ মিয়ার ছেলে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির এক তরুণীকে ‘ভাল কাজ’ দেওয়ার কথা বলে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম আবদুস সালামের হাতে তুলে দেয়। আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে ২২ দিন ধর্ষন করে। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েকদিন পর ফের আবদুস সালাম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখে। সেখানে আবদুস সালাম, আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে তরুণীটিকে ধর্ষন করে। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসে তরুণীটি। এ ঘটনায় ২৯ মার্চ কোতোয়ালী থানায় তিন জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন তরুণীর মা।