দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের কথা বললেও রাজি ছিল না ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় চলাকালে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে মো. লিখন হোসেন নামে তরুণ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা গত ১ মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, সালিশের নামে একাধিকবার বসেও এ বিষয়ে সুরাহা হয়নি। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত তরুণ লিখন (১৮) সগুনা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এর পর থেকে তরুণ ও তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলে নিতে হয়রানি এবং হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৩০ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম রব্বানী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্নবিরতির সময় লিখন বিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলায় উঠে যায়। এর পর সপ্তম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষ থেকে জরুরি কথা আছে বলে শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দুই বান্ধবী তাকে উদ্ধার করে নিচে নিয়ে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সত্যতা থাকায় আমি স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে বিষয়টি জানাই। তারা উপযুক্ত বিচার করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দৃশ্যমান কিছুই হয়নি।
থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে তরুণ ও তার স্বজনরা নানাভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের এক প্রভাবশালী তাদের সহযোগিতা করছেন। ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সারাক্ষণ সে ভয়ে কাঁপছে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ মামলা আকারে রেকর্ড করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত তরুণ লিখনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।