ঢাকাশনিবার , ৪ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন যুগের যৌন স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়

rising sylhet
rising sylhet
জানুয়ারি ৪, ২০২৫ ৬:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ছোট্ট এই দৃশ্যটি মজার জন্য হলেও এটি একটি নতুন যুগের যৌন স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। ভারতে সেক্স টয় এবং যৌনতার ক্ষেত্রে স্ব-তৃপ্তি নিয়ে যে লজ্জা ও রাগঢাক ছিল, তা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘রাত জওয়ান হ্যায়’ (সনিলাইভ)-এর একটি দৃশ্যে দেখা যায়, স্ত্রী টেবিলের ওপর একটি সেক্স টয় রাখেন এবং তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করছেন। এখানে কোনো গোপনীয়তা, রাগঢাক করতে দেখা যায়নি বা টয়টি অস্পষ্ট করার প্রয়াস দেখা যায়নি।

ইতোমধ্যে যৌনতার ক্ষেত্রে একটি নীরব বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে, যা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এর মাধ্যমে যৌন সচেতনতা ও ইতিবাচকতা জোরদার করে একটি নতুন যুগের সূচনা করছে।

একসময় সেক্স টয় বিক্রি সীমাবদ্ধ ছিল গ্রে মার্কেটে, যেমন নয়াদিল্লির পালিকা মার্কেট বা মুম্বাইয়ের ক্রফোর্ড মার্কেট। কিন্তু এখন নারীদের পরিচালিত ব্র্যান্ড, যেমন মাইমুজ ও দ্যাট সেসি থিংঙ্ক দাপটের সঙ্গে বাজারে রাজত্ব করছে। এ ধরনের ব্র্যান্ড সাধারণত যৌন ইতিবাচকতার বার্তা ছড়ায়, যা কেবল লিবিডো নয় বরং সার্বিক যৌন অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক করে। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য লাইভমিন্টে শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব উঠে এসেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মনির্ভরশীলতা: ভারতে দীর্ঘদিন ধরে নারীর যৌনতাকে নিয়ন্ত্রিত এবং অবদমিত করে রাখা হয়েছে। যৌনতার প্রতি ইতিবাচকতা সৃষ্টি এবং সেক্স টয়ের ব্যবহার নারীদের নিজেদের যৌন অভিজ্ঞতার নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, ‘সেক্স টয়ের ব্যবহার আমাকে নিজের শরীর এবং পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে সচেতন করেছে এবং আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

এই বিপ্লবের অগ্রভাগে রয়েছেন নারীরা। এদের মধ্যে একজন লিজা মঙ্গলদাস, যিনি একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত যৌন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং তিনি ৩০ লাখের বেশি অনলাইন অনুসারী নিয়ে কাজ করছেন। তিনি যৌনতা ও আনন্দ উপভোগ নিয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন এবং তার ব্র্যান্ড লিজু’স-এর মাধ্যমে সেক্স টেক পণ্যের বিপণন করে থাকেন।

ভারতে সেক্স টয় নিষিদ্ধ নয়, তবে ‘অশ্লীলতা’ আইনের (ধারা ২৯৪) কারণে এটি নিয়ে প্রায়ই আইনি জটিলতা দেখা যায়। তাই আইনের বাধা এড়াতে সেগুলোকে ‘ম্যাসাজার’ নামে বিক্রি করা হয়।

২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য পণ্য শুধুমাত্র প্রকৃতির কারণে অশ্লীল বিবেচিত হতে পারে না।

এই নীরব বিপ্লব কেবল সেক্স টয় বা আনন্দের বিষয়ে নয়, এটি লজ্জা ভাঙার, অধিকার পুনরুদ্ধারের এবং একটি স্বাস্থ্যকর যৌনজীবন উপভোগের জন্য একটি মুক্তমনা সমাজ গড়ার ইঙ্গিত। ভারতীয় সমাজ ক্রমবর্ধমানভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং যৌনতা নিয়ে আলোচনা আরও সাহসী ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।

যদিও সামাজিক এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় যৌনতা সংক্রান্ত বিষয় প্রায়ই সেন্সর করা হয়, তারপরও এসব এই বাজার দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ২০২৩ সালে ভারতে সেক্স টয় বাজারের মূল্য ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং এটি প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে।

৬৯ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।