টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এছাড়া অন্যান্য স্থানে পানির সমতল কমতে পারে।এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে মুহুরী, হালদা ও গোমতী নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয়/জোয়ারভাটা প্রবণ নদীগুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি গভীর স্থল নিম্নচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮মি.মি/২৪ ঘণ্টা) পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায়, আগামী তিন দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতলও হ্রাস পাচ্ছে। যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ৫ দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদী—মনু ও খোয়াই ইত্যাদির পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।
আগামী দুই দিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী তিন দিন পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে।