বিশ্বনাথে নিখোঁজের একমাসেও খোঁজ মেলেনি গৃহবধূ আছমা খানমের (২৪)। তার অবস্থান এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গৃহবধূর স্বামী সোহেল আহমেদ জানান, গত ১৮ নভেম্বর আছমা খানম তার বাবার বাসায় যাওয়ার কথা বলে দাউদপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর আছমা খানমের বড়বোন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের ছালিমা খানম (৩০) বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আছমা খানমের বোন ছালিমা খানম জানান, ঘটনার দিন আসমা আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলে তার স্বামীর ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হয়। পরে সন্ধ্যা অবধি সে বাসায় না ফেরায় তার স্বামী আমাকে ফোন করে জানতে চান সে আমাদের ওখানে এসেছে কি না? তখন আমরা জানাই সে আমাদের বাড়িও আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে আমি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।
স্বামী সোহেল আহমদ আরও জানান, ঘটনার দুই দিন আগে তার স্ত্রীর বড়বোন ছালিমা খানম তাকে নাইওর (বিয়ের পর মেয়েরা বাপের বাড়িতে অতিথি হয়ে আসাকে বোঝায়) আনতে বাসায় যান। তখন টাকার বন্দোবস্ত না হওয়ায় বোনের সঙ্গে যেতে দিতে পারেননি। তিনি টাকা ধার দিতে চাইলেও তিনি গ্রহণ করেননি। ঘটনার আগের দিন রাতে স্ত্রীকে এক হাজার টাকা ব্যবস্থা করে দিয়ে পরদিন বাবার বাড়িতে নাইওর যেতে বলেন। পরদিন সকালে বাবার বাড়ি থেকে লোক এসে নিয়ে যাবার কথা থাকায়, বসতবাড়িতে কাজে চলে যান তিনি। দুপুরের দিকে নিশ্চিত হতে স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পান। একাধিকবার চেষ্টায় না পেয়ে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী আসমা বাসায়ও নেই। পরে বাবার বাড়িতে বোনের কাছে ফোন দিয়ে জানেত পারেন সে ওখানেও যায়নি। ঘর থেকে কেবল তিনটি নতুন পোশাক আর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়েছে সে।
জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে সোহেল আহমদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন একই উপজেলার দশঘরের কাশিমপুর গ্রামের মৃত কদরিছ খানের মেয়ে আসমা খানমের। দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল নি:সন্তান এ দম্পতির। বাড়িতে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় বেশকিছু দিন ধরে ওই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন তারা।
বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর মিয়া জানান, গৃহবধূ নিখোঁজের জিডিটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আছমা খানমের সন্ধানে আমরা কাজ করছি।