নিজে মন্ত্রী হলেও ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাঁর সুন্দরী আধুনিক স্ত্রী।
ভাইয়ের কোটায় এমপি হওয়া মোমেন ও তার স্ত্রীর দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য, জবর দখল এখন সিলেটবাসীর মুখে মুখে। ভাই প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্ষমতায় থাকা কালে বেফাঁস মন্তব্য, অশ্লীল বাক্য আর দেশ থেকে অর্থ লুটের ঘটনায় বার বার পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন।
বাধ্য হয়ে ভাইয়ের বদলে প্রবাস ফেরত ড. এ কে আবদুল মোমেন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন।
সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর হয়েছিলেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিজে মন্ত্রী হলেও সব ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাঁর সুন্দরী আধুনিক স্ত্রী সেলিনা মোমেন।
নিজে ওপেন ঘুষ গ্রহণ বা কমিশন বাণিজ্যে না জড়ালেও স্ত্রী সেলিনা মোমেন গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের কাজ ছিলো কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, ভূমি দখল আর মামলার তদবির বাণিজ্য। বার বার বিভিন্ন কোম্পানী ও ঠিকাদারীর প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে ওপেন ঘুষ গ্রহণ ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদের সহযোগিতায় বিমানবন্দর এলাকায় বড়শালায় ভূমি দখলের
বিষয়টি ছিলো বেশ আলোচনায়। ঢাকা-সিলেট চারলেন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে চায়না কোম্পানির কাছ থেকে ১৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। কার্টুন ভর্তি চায়ের প্যাকেটে করে মোমেনের বাসায় টাকাগুলো পাঠিয়েছিলো চায়না কোম্পানি। টাকার ভাগ না পেয়ে বেকে বসেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যে কারণে বছরের পর বছর আটকে থাকে বহুল আলোচিত প্রকল্পটি।
এর আগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নিত করার কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোমেনের ঘুষ নেয়ার তথ্য ফাঁস করেছিলো খোদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। তখন মোমেন প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছিলো ঘুষ নয় বরং লবিং চার্জ হিসেবে এ টাকা নিয়েছেন তিনি। বিনা ভোটের এই এমপি আর ভাইয়ের কোঠায় মন্ত্রী মোমেন পাঁচ বছরে দেশ কিংবা সিলেটের জন্য কিছু করতে না পারলেও তার স্ত্রী সেলিনাকে শত শত কোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন। জুলাই বিপ্লবের আগে সেলিনা আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন। কিন্তু মোমেন এখনও দেশে। তাকে খুজে পাচ্ছেনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মোমেন এ পর্যন্ত প্রায় ডজন খানেক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।