নিজ সন্তানের এই অপকর্ম স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি মা। অনেকটা রাগে-অপমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন জাহানারা বেগম নামে সেই মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা যায়, জাহানারা বেগম ছেলে আলাউদ্দিনকে নিয়ে নিঝুমদ্বীপের ১নং ওয়ার্ড উপরের বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। ছেলে গ্রেপ্তারের পর এলাকার লোকজন এগুলো নিয়ে বিভিন্ন কথা তোলে। এ নিয়ে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আগে থেকে তার মানসিক সমস্যা ছিল।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, নিঝুমদ্বীপে জাহানারা বেগম নামে এক মহিলার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় জামসেদ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে জাহানারা বেগম বাবার বাড়ি থেকে চলে আসে। সকালে তার মা এবং বোন খোঁজ নিতে এসে দেখে ঘরের আরার সঙ্গে ঝুলে আছেন তিনি। তখন তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানান, চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় গৃহবধূকে গলা কেটে পুকুরে পেলে দেয় আলাউদ্দিন ও রাব্বি। ঘটনার এক সপ্তাহ পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। এলাকার মানুষ এগুলো নিয়ে কথা তুললে তা সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আলাউদ্দিনের মা জাহানারা বেগম। নিঝুমদ্বীপের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।