রাইজিংসিলেটে- নির্বাচনের আগে যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় – যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে উদ্বেগ
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (USCIRF)। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা বাড়তে পারে, যার কারণে ধর্মীয় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগে রয়েছে।
প্রতিবেদনটি ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সফরের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মূলত পুলিশ মোতায়েনের ওপরই নির্ভর করছে, তবে এর বাইরে সহিংসতা রোধে কোনো সুস্পষ্ট কৌশল বা পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কমিশনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অতীত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করলেও তাদের শাসনামলেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা থামেনি। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং রক্ষণশীল অবস্থান উল্লেখ করে বিএনপিকে আরও কট্টরপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় সংখ্যালঘুদের মতামতের উপস্থিতি খুবই সীমিত। যদিও সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়েছে, তবে তা সংখ্যালঘুদের মধ্যে আশ্বস্ত করার মতো পর্যাপ্ত নয়।
একই সঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক হামলা সংক্রান্ত ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই ধর্মীয় সহিংসতার অন্তত ৯২টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল অকার্যকর।
কমিশনের আশঙ্কা, আগামী ৫ আগস্টের পর দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি ও জনবল ঘাটির কারণে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও তারা সতর্ক করেছে।
