নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ।
সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লড়ছেন।
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলার গোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দেন সুজাত আলী রফিক। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, মোগলগাঁও এলাকার একটি কেন্দ্রে তার এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এভাবে জোড় যার মুল্লুক তার হতে পারে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহবান করছি।
চেয়ারম্যান পদে শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন)।
এদিকে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। আর আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা নিজাম আহমদ (টিউবওয়েল), আওয়ামী লীগ নেতা বিলাশ বোনার্জী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), স্বতন্ত্র মো. সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ (মাইক), আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির হুসাইন (চশমা), স্বতন্ত্র মো. ওলিউর রহমান (টিয়া পখি), বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম (তালা) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীন্দ্র লাল দাস (বই)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেত্রী মোছা. দিলরুবা বেগম (পদ্ম ফুল) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা. হাছিনা আক্তার (ফুটবল)।
সিলেট সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯২১। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৪ হাজার ৪২০ ও নারী ভোটার ৮৭ হাজার ৫০০ জন রয়েছেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। সাত ইউনিয়নে মোট ৬২ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।