নির্বাচন কীভাবে করবে সেটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার কাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানো বা নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সময়সীমার মধ্যে তারা (ইসি) তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন সম্পন্ন করার একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এ সময়সীমার ভেতরে থেকে ভোট সম্পন্ন করতে হবে।
এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্রের দিক থেকে পারফেক্ট কোনো দেশ আছে কি না এমন প্রশ্ন করা হয়েছে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদের। এত অপপ্রচারের পরেও নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথ প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এটা একটি পজিটিভ বিষয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নির্বাচন কমিশনকে আইনগত কাঠামো দিয়ে যুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংসদীয় আইনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আইনের সংস্কার করা হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি আসবে না বলেই নির্বাচন একতরফা হবে এটা ঠিক নয়, অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। একটি দলকে ঘিরে নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশিদের মতামত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কারো নেতিবাচক কোনো মতামত দেখিনি, তবে বিদেশিদের মতামতে আমাদের মাথাব্যথাও নেই।
এর আগে, বেলা ১১টায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ আরও কয়েক নেতা উপস্থিত ছিলেন।