
রাইজিংসিলেট- আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস জানান, নির্বাচন রমজানের আগেই অনুষ্ঠিত হবে এবং ইতোমধ্যে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কিছু মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সরকার নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, “এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা। ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচিত হবে।”
তরুণ ভোটারদের উৎসাহ নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিন দশকের বেশি সময় পর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। এতে নির্বাচনি চেতনা বাড়ছে, এবং এবারের জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, উন্নয়ন অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি অনেক দেশের তুলনায় সঠিক পথে রয়েছে।
ড. ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান। বিশেষ করে অর্থ সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাম্পের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন ড. ইউনূস। এবার তার সফরসঙ্গী হিসেবে চারজন রাজনীতিবিদও থাকছেন। তারা হলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির আখতার হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এই রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্তি একটি সংকেত যে, শিগগিরই দেশের নেতৃত্ব রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।