অতিথি প্রতিবেদক :: নৈতিক শিক্ষা ,মানবিকতার শিক্ষা বর্তমানে প্রচলিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে মানুষ পাচ্ছে না।
সিলেট তালতলা টু -সুবিদ বাজার সময় দেড় ঘন্টা, প্রকৃত সময় ৫ মিনিট।গ্যাস পোড়াইলাম ৩০০/- টাকার।ধর্ম মানুষের কল্যানের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে এটা বিশ্বাস করি কিন্ত এটা কি এখন আধো কল্যান বয়ে আনছে? ভেবে দেখা দরকার!
ছোট বেলায় দেখেছি স্বরসতি পুজা হতো স্কুল ,কলেজে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যা দেবীকে অত্যন্ত ভক্তির সহিত পুজো করতো।এত নাচগান ছিলো না।ছিল না শোভাযাত্রা। ধর্মীয় ভক্তি মূলক গান হলে মেনে নেওয়া যায়, এতো হিন্দি গানের সাথে, বিকট শব্দ সাথে উগ্র নাচ! কি অবাক কান্ড। বর্তমানে দেশে এস এস সি পরীক্ষা চলছে।পরীক্ষার্থীদের কি উপকার হচ্ছে? এক সময় মানুষ অসভ্য ছিল, ধর্মের অমোগবানী মানুষ কে সভ্যতার পথ দেখায়, মানুষ সুশিক্ষা অর্জন করে সভ্য হয়। জ্ঞান বিজ্ঞানে মানুষ অগ্রসর হয় এবং কল্যান মূলক সমাজ ও রাষ্ট্র সৃষ্টি করে।আর বর্তমানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে মানুষ,আগামী প্রজন্ম কি ম্যাসেজ পাচ্ছে? কি শিখছে?
যানজট,শব্দ দূষণ আর মদ্যপান করে উগ্রামী। মানুষের কল্যানের পরিবর্তে ক্ষতি করা,বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করা।
পিতা মাতা,শিক্ষক এর প্রতি ভক্তি,অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এ সবের এখন কিছুই নাই ।ভদ্রতা নম্রতা বলতে কিছুই নাই।আমি মনে করি ধর্মের নামে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি সমাজকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে।
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিল এর নামে সারা শহরে মাইক লাগিয়ে শব্দ দূষণ সৃষ্টি করে মানুষের বিরক্তি সৃষ্টিই করা।প্রকৃত পক্ষে ওয়াজ মাহফিলে মানুষের উপস্থিতি অত্যন্ত নগন্য।ফেইস বুক চ্যানেল এ ওয়াজ এর নামে নাচানাচি, হাস্যকর কর্মকান্ড, এ সব কিসের আলামত?
নৈতিক শিক্ষা ,মানবিকতার শিক্ষা বর্তমানে প্রচলিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে মানুষ পাচ্ছে না। ফলে সর্বত্রই একটি অস্থিরতা, বাড়াবাড়ি চলছে।
তাই তো একটি অসম বিবাহ, যা সমাজ গ্রহন করে না ,তা সমাজকে খাওয়ানোর(প্রমোট করার) নগ্ন প্রচেষ্টা চলছে, একজন অপরাধী সাজা খেটে এসে লজ্জিত না হয়ে বীর দর্পে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে লেখক সেজে নেকামী করছে ,বই মেলার মতো পবিত্র জায়গায়। আর দায়িত্ববান যারা আছেন তারা নির্বিকার, একইসাথে সাধারণমানুষ। যেন ,আমার বলার কিছু ছিল না, শুধু শুধু চেয়ে দেখলাম! কোন প্রতিবাদ নাই, নাই কোন প্রতিকার।