নোয়াখালীর সুবর্ণচরে লাইসেন্স ব্যতীত করাত-কল পরিচালনা করা ও চিড়াই কাঠের হিসাব সংরক্ষণ না করায় ৪ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এসব করাত-কলে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম।
জরিমানা করা প্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের
চর মহিউদ্দিন বাজার এলাকায় অবস্থিত সহিদ ‘স’ মিলকে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা), শিরিন আক্তার ‘স’ মিলকে ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা)।এছাড়াও ২নং চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মজিদ এলাকায় অবস্থিত সাহাদাত ‘স’ মিলকে ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা) এবং তোতার বাজার সংলগ্ন মধ্য চরবাটা এলাকায় অবস্থিত ইউছুফ (ডুবাই) ‘স’ মিলকে ৫০০০ (পাঁচ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড ও লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত করাত-কল গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে প্রশাসন।
চরজব্বর থানা পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান পরিচালনা করেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ও হাবিবিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন ‘স’ মিলে করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ এর ৩(১) এবং ১২ ধারা মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত করাত-কল গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। অবৈধভাবে পরিচালিত সকল করাত-কলের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন গণমাধ্যম কর্মীদের।