রাইজিংসিলেট- নৌকার টানে এয়ারপোর্টের বাইশটিলায়। সিলেট শহরতলির সবুজ-শ্যামল বাইশটিলা গ্রাম। পাশেই উফতা বিল আর বাওড়কান্দি হাওর। গ্রামের নাক–বরাবর বয়ে গেছে চেঙ্গেরখাল নদী। ভরা বর্ষায় নদী, বিল ও হাওর পানিতে টইটম্বুর থাকে। তখন এখানে নৌকা ভাসিয়ে মনের আনন্দে শহুরে মানুষ প্রকৃতির বুকে হারান।
দিনপঞ্জির হিসাবে বর্ষাকাল আরও আগে বিদায় নিয়েছে। তবু খাল–বিল, হাওর–বাঁওড় এখনো পানিতে টইটম্বুর। নৌকা ভ্রমণে ছুটে আসছেন মানুষ। এসব দর্শনার্থীকে নিয়ে নৌকার মাঝিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান। রংবেরঙের ঝালর-আচ্ছাদিত নৌকা পানিতে ভেসে চলার অপূর্ব দৃশ্য দেখতেও অনেকে জড়ো হচ্ছেন বিল, হাওর ও নদীর পাড়ে।
বাইশটিল্লায় বর্ষার কারণে বিল ও হাওরের পানি সেখানে মিলেমিশে একাকার। একইভাবে নদীও মিশেছে হাওরের সঙ্গে। মাঝিদের সঙ্গে দরদাম করে নৌকায় চেপে বসছেন মানুষজন।
একাধিক দর্শনার্থী আর মাঝির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল, ছুটির দিনে বিশেষত শুক্র ও শনিবার বিপুলসংখ্যক মানুষ আসেন এখানে। ওই দুই দিন একেকটা নৌকাকে ঘণ্টাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দিতে হয়। অবশ্য দরদাম করে কিছুটা কমানোও যায়। অন্যান্য দিন আরও কমে নৌকা পাওয়া যায়। নৌকায় সর্বোচ্চ ৮-১০ জন বসা যায়। দল বেঁধে আসা মানুষ কিংবা পরিবারের সদস্যরা কেবল নিজেদের জন্যই নৌকা ভাড়ায় নেন।
নৌভ্রমণের পাশাপাশি পাড়ে বসে মুখরোচক নানা খাবারও খাওয়া যায়। অনেকে নৌকায় না চড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে বসে খাওয়াদাওয়া আর আড্ডার জন্যও এখানে আসেন। দোকানিরা জানান, ঠান্ডা পানীয়, চা-কফির পাশাপাশি চটপটি, ফুচকা, শিঙাড়া, পেঁয়াজু, ছোলা, চপ, বার্গার, ঝালমুড়ি, আমড়া, আচারসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় এখানে। প্রতি প্লেট চটপটি ৩০-৪০ টাকা এবং ফুচকা ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যায়। প্রতিটি শিঙাড়া ৭ টাকা এবং চপ ও পেঁয়াজু ৫ টাকায় পাওয়া যায়।