আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কিংবা বেতারে গানের সুযোগ না পেলেও, অন্তর্র্বতী সরকার আসার পর ইতোমধ্যে চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মনির খান। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি মতাদর্শ সাংস্কৃতিক তারকারা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুষ্ঠানে অঘোষিত নিষিদ্ধ করা হয় তাদের। এর মধ্যে ছিলেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সংগীতশিল্পী মনির খান। অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব শিল্পীই এখন কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। তাই তো ১৫ বছর পর এবার বাংলাদেশ বেতারে দেখা গেল তাদের। গানে কণ্ঠও দিলেন তিনি।
বাংলাদেশ বেতারের চারটি গানে কণ্ঠ দিলেও এর মধ্যে একটি গান প্রকাশ হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেননা, গানটি ‘বৈষম্যবিরোধী’। ‘এক মহাক্যাব্য লেখা হলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে / বাংলাদেশ নতুন করে পেয়েছি তোমায় ভালোবাসার ঐকতানে’, এমন কথায় গানটি লিখেছেন গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ। আর এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মকসুদ জামিল মিন্টু।
‘বৈষম্যবিরোধী’ গানটি সম্পর্কে মনির খান বলেন, গত সোমবার বেতারের স্টুডিওতে গানটি রেকর্ড করা হয়েছে। গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ, তিনি তো বরাবরই ভালো লেখেন। তার লেখনি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আবার মকসুদ জামিল মিন্টু ভাইয়ের সুরের কথা কী বলব, অসাধারণ। সব মিলে অনেক সুন্দর একটি গান করেছি আমরা।
এদিকে ‘বৈষম্যবিরোধী’ গানটি স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথমবারের মতো বেতার পরিদর্শন ছিল নাহিদ ইসলামের।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ বলেন আর সংগীতশিল্পী বলেন, একটা কথাই বলব-কখনো কোনো শিল্পীকে যেন কোনোভাবে তার সৃজনশীল কাজে বাধা প্রদান করা না হয়। শিল্পীদের সঙ্গে যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না হয়।