পটপরিবর্তনের পর মুন্না পরিচয় দিচ্ছে বিএনপি’র কর্মী।
গত ১৬ বছর সিলেট আওয়ামীলীগের সব পর্যায়ের নেতাদের সাথে ব্যবসা , বাণিজ্য , সখ্যতা , দহরম মহরম , গলায় গলায় পিরিত ছিলো ফিনল্যান্ড প্রবাসী যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নার। কিন্তু ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর এখন সে বিএনপি পরিচয় দিচ্ছে।
অত্যন্ত ধুরন্ধর মুন্নার বেশ কয়েকটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সিলেট আওয়ামীলীগের বিনাভোটের ভুয়া এমপি হাবিব , নাদেল ও মোমেনের সাথে তার অসংখ্য ছবি এসব ছবিতে আওয়ামী এমপিদের সাথে মুন্নাকে হাস্যজ্জ্ল প্রাণবন্ত ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কযুক্ত মনে হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সহ আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে মুন্নার ঘনিষ্টতা সর্বমহলে বিদিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর বিএনপির এক নেতা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মুন্না দেশে আওয়ামীলীগের সাথে চলাফেরা করতো। আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিতো। তারে কখনো বিএনপির কর্মসূচি আর বিএনপি নেতাদের সাথে দেখিনি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,ড.মোমেন এখন ফিনল্যান্ড থাকছেন। সেখানে ব্যবসা পাতি করছেন তিনি,মোমেনের অবৈধ অর্থ আয়ের সব কিছু দেখাশোনা করছে সাজ্জাদুর রহমান মুন্না।
৩১ অক্টোবর একটি বিস্ফোরক মামলায় মুন্নাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তার আটক ও অর্থ পাচার নিয়ে দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় ১লা নভেম্বর নিউজ এসেছে।
তবে মুন্নাকে আটকের পর তার সহযোগীরা তাকে বিএনপি কর্মী হিসবে উপস্থাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম বলেন,এতদিন আওয়ামী পরিচয়ে সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে মুন্না এখন পট পরিবর্তনের পর খোলস পাল্টাতে চাচ্ছে। আওয়ামিলীগ যুবলীগের কেউ যদি বিএনপি যুবদলের পরিচয় দেয় এটা আমরা মেনে নিবো না। আমরা মামলা হামলা নির্যাতন সহ্য করেছি। আর মুন্নাদের মতো খোলস বদলকারীরা স্বৈরাচারের দোসর, সহযোগী, মিত্র সবই ছিল।
এই বিষয়ে ২১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক জুবেল আহমেদ স্বপন বলেন, সাজিদুর রহমান মুন্না নামে ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুবদল ছাত্রদলে কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন,মুন্না নামে ফিনল্যান্ড আওয়ামীলীগের এক প্রবাসী নেতা আমাদের বিগত দিনে অনেক সাফার করিয়েছেন সে প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাদের হ্যারাস করাতো আমরা কেউ বাসায় ঘুমাতে পারতাম না।