সোমবার (৩ জুন) সকালে পুলিশ সদরদপ্তরের হল অব প্রাইডে ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, সড়ক, রেলপথ ও নৌ পথের নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপদ যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত সভায় আইজিপি এ নির্দেশনা দেন।
এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্যও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা, গার্মেন্টস ও শিল্প-কল-কারখানা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কোরবানির পশু পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়াদি সভায় উপস্থাপন করা হয়।
আইজিপি বলেন, সড়ক অথবা নৌ পথে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে পশুবাহী গাড়ির সামনে গন্তব্যস্থান উল্লেখ করে ব্যানার লাগাতে হবে।কোরবানির পশু পরিবহনে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের গমনাগমন স্বস্তিদায়ক করতে হবে। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
আইজিপি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে ও সড়কে ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ থাকবে।
পশু বেপারিদের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির অপতৎপরতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবাই মিলে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা ঈদুল আজহায় একটি সুন্দর ঈদ উপহার দিতে সক্ষম হবো।
আইজিপি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে পণ্যবাহী গাড়িতে বা ট্রাকে ভ্রমণ না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি। গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাত কেন্দ্রের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে উল্লেখ করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে যাবেন। বিনোদনকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনাররা, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপিরা এবং ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।