
রাইজিংসিলেট- পর্তুগাল ঘোষণা দিয়েছে যে তারা আগামী রোববার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি ও সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫ বছর ধরে চলা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০১১ সালে পর্তুগালের বামধারার দল ‘লেফট ব্লক’ প্রথম এই প্রস্তাব সংসদে তোলে।
পর্তুগালের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশ—যেমন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনো এবং অ্যান্ডোরা—ও আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিউইয়র্কে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে এই ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের কথাও জানা গেছে।
এই স্বীকৃতির ঘোষণা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে ইসরায়েলের গাজা অভিযানে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি।
তবে, এসব স্বীকৃতিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, এসব স্বীকৃতি মূলত “হামাসের প্রচারণার অংশ”। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রতিটি স্বীকৃতির জবাবে পশ্চিম তীরে নতুন অবৈধ বসতি নির্মাণ করা হবে।