
চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ফেংহুয়াং পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক স্থাপনা ওয়েনচ্যাং প্যাভিলিয়নে গত ১২ নভেম্বর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এক পর্যটকের অসাবধানতাবশত মোমবাতি এবং ধর্মীয় ধূপ ব্যবহার করায় এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। তদন্ত শেষে ওয়েনচ্যাং প্যাভিলিয়নের ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের সময় প্যাভিলিয়নের তিনতলা কাঠামোতে লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়ার চিত্র ধরা পড়ে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং প্যাভিলিয়নের ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। যদিও এই মন্দির কমপ্লেক্সে কোনো প্রাচীন নিদর্শন ছিল না, এটি ছিল ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি আধুনিক সংস্করণ এবং অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
ওয়েনচ্যাং প্যাভিলিয়নটি ২০০৯ সালে নির্মিত এবং শতবর্ষ পুরোনো ইয়ংকিং মন্দির কর্তৃক পরিচালিত হতো। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পর্যটকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের ভাষ্যে, শুধু মন্দিরই নয়, আশপাশের বনাঞ্চলও এই আগুনে ঝুঁকিতে পড়েছিল।
দুর্ভাগ্যবশত, এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে ঘটনাটি চীনে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। এর আগেও ২০২৩ সালে গানসু প্রদেশের শানডান গ্রেট বুদ্ধ টেম্পলে অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল।