জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মহানগর উত্তর ঘোষণা দিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে । নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এই ঘোষণা দেয় দলটি।
বুধবার (২১ মে) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশটি শুরু হয়।
এনসিপির যুগ্ম সম্পাদক সানোয়ার তুষার বলেন, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করতে হবে। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। এই ইসি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।
এনসিপির মিরপুর মডেল থানার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনারদের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চলবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল আমিন টুটুল বলেন, ইশরাক ভাই নগর ভবনে তালা দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করবেন না। নগর ভবনে নাটক চলছে। অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আন্দোলন করি না। তারা আমাদের বলে প্রস্রাব দিয়ে আমাদের ভাসাইয়ে দেবে। এত দিন তারা কোথায় ছিলেন। ১৬ বছর তারা একটা বালির ট্রাক সরাতে পারে নাই।
বর্তমান ইসিকে অথর্ব দাবি করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এই অথর্ব ইসি চাই না। এদের আমরা চাই না। নতুন দেশপ্রেমিক দিয়ে নতুন ইসি গঠন করতে হবে। ইসিতে দোসর আছে তাদের চাই না।
এনসিপির গেন্ডারিয়া থানা প্রতিনিধি কামরুল আহসান বলেন, ইসি সংস্কার না হওয়ার গেজেট হয়েছে। আমরা এই সংস্কারের জন্য আন্দোলন করি নাই। আমি মামলার আসামি আমি গুলি খেয়েছি। কেউ ফ্যাসিস্ট কায়দায় কিছু দখল করলে তাদের ১৫ সেকেন্ড লাগবে বিতাড়িত করতে। হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি আপনারা পালানোর পথ পাবেন না। আপনারা কেন নগর ভবনে তালা মেরেছেন।
মোহাম্মদ পুর থানার প্রতিনিধি আবু সুফিয়ান বলেন, ইসি সংস্কার হলে সবার ভোটাধিকার সুরক্ষিত হবে। ইসি দ্বিচারিতার আশ্রয় নিয়েছে। ইসি দ্রুত ইশরাকের তড়িঘড়ি করে গেজেট দিয়েছে। অবৈধ নির্বাচনের মেয়র কীভাবে বৈধ হয়।