
রোববার (১ জুন) পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টের আদেশে বাতিল করা হয়। তবে আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটি ওই আদেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে এবং অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রায় এমন সময় এলো যখন গত ২৭ মে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে ২০১৪ সালে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
মে মাসে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকেও সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
আরও হয়েছে, যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ইসলামাবাদকে সমর্থন করেছিল, এমন একটি কথা যা আজও অনেক বাংলাদেশীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা হাসিনার বাবা, আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিপক্ষ ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানে পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। হাসিনা তার শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং এর নেতাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে দলটি আবারও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেল এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ফিরে পেল।