বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু, নারী-পুরুষ সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।এ নিয়ে এলাকায় কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে ১৮ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রবিবার (৩ মার্চ) রাত থেকে সোমবার (৪ মার্চ) সকাল পর্যন্ত হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্হানে কুকুরের কামড়ের শিকার হন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় জয়নগর গ্রামের জাহের মিয়ার পুত্র আবু বক্কর (৫) সহ আরো কয়েক শিশু খেলা করছিলো এসময় একটি পাগলা কুকুর তাদেরকে কামড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন। এসময় গ্রামবাসী কুকুরটিকে তাড়া করলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।
কুকুরের কামড়ে আহত অন্যরা হলেন পৌর এলাকার শরীফ নগরের গোলাম ফারুক, রওশন আলীর পুত্র জিহাদ, ফতেহপুর গ্রামের মোহন মিয়া (১৯), আদর্শ নগরের ২ শিশু, বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মহিবুর মিয়ার মিয়ার কন্যা মিলন আক্তার (৩), কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাই গ্রামের আতাউর রহমান (৪০), সদর ইউনিয়নের বিরাট গ্রামের সাহিদা বেগম (৩৫) প্রমুখ।
রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়ানগর গ্রামের সদ্য বিবাহ করে ফেরা সুভাষ দাসের পুত্র ইঞ্জিল দাস, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র তানজিদ (১২) সহ আরো ১০-১২ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হন।
উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, রবিবার রাতে ১০ জন এবং সোমবার সকালে ৮ জন সহ মোট ১৮ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাশেম আলী বলেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সুভাষ দাসের পুত্র ইঞ্জিল দাস, নারী উদ্যোক্তার শিশু পুত্র ও তার ভাতিজা তানজিদ সহ ১০/১২ জনকে পাগলা কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন । তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি পাগলা কুকুরটি মেরে ফেলা হয়েছে। সবার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যারাই কুকুরের কামড়ে আাহত হয়েছেন তারা সবাই যেন ভ্যাক্সিন গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কথা বলা হবে।