সিলেটের গোয়াইনঘাটে চলছে পাথরখেকো ও বখরাখোরদের অন্যরকম ঈদোৎসব। বদলে যাচ্ছে দেশের স্থল জল সীমান্ত।
রাতের আধারে সাবাড় করে দেওয়া হচ্ছে সীমান্তের জিরো পয়েন্টসহ পুরো বিছনাকান্দি কোয়ারী। দিনে কিছুটা কম চললেও রমজানের রাতে বোমামেশিন ও সেভমেশিনর বিকট আওয়াজে সবার কান তালা। প্রায় অর্ধশত গর্ত থেকে বোমা ও সেভমেশিন দিয়ে বেআইনী এবং অবৈধ পন্থায় তোলা হচ্ছে লাখ লাখ ঘনফুট পাথর। আর বেআইনী এ পাথর উত্তালন থেকে প্রশাসনের নামে দৈনিক আদায় করা হচ্ছে দৈনিক লাখ লাখ টাকার বখরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথর উত্তেলনের এ বে আইনী গর্তগুলো পরিচালনা করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম , পাবলো মেম্বারসহ কয়েকজন।
স্থানীয় সংবাদসূত্র জানায়, বেআইনী পাথর উত্তোলনের প্রতিটি গর্ত থেকে ৫ হাজার টকা করে প্রত্যেক দিন আদায় করা হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকার বখরা।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ ম্যানেজ করার নামে লাইনম্যান হয়ে এ টাকা আাদায় করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, আব্দুল্লাহ তারেক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ও হোতা। জিরো পয়েন্ট ও কোয়ারি থেকে বেআাইনী উত্তোলিত পাথর বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে শত শত ট্রাক্টর। আর প্রতি ট্রাক্টর থেকে আদায় করা হয় ৭-৮ শ’ টাকা করে কয়েক লাখ টাকা বখরা। বখরার এ টাকা আদায় করেন কামাল হোসেনসহ দুজন। তারা নিজেদেরকে পুলিশ ও প্রশাসনের ট্রাক্টর লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেআইনী এ পাথর উত্তোলনের ফলে এলাকায় নেমে আসছে ভূমিধস সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বদলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সীমানা ও মানচিত্র।
অভিযোগে আরো প্রকাশ স্থানীয় বগাইয়া মুসলিম পাড়ায় সীমান্ত পিলারের দেড়শ’ গজের ভেতরে প্রায় ২৫ টি গর্ত থেকে প্রতি রাতে বোমা মেশিন ও সেভমেশিন দিয়ে গভীর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে লাখ লাখ ঘনফুট পাথর। এতে ভূ-গত ভাবে ক্ষতি হচ্ছে দেশের সীমান্তের। ভূমিধসে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের স্থল ও জল সীমানা। ভারতের অপদখলে চলে যাচ্ছে শত শত হেক্টর সীমান্ত ভূমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ লাইম্যানরা সীমান্ত প্রহরি ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাথর খেকোদের দিয়ে সাবাড় করে ধসিয়ে ফেলছেন গোয়াইঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত।
স্থানীয়রা পাথরখেকো ও সীমান্ত খেকো লুটরা বখরাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়ছেন।- চলবে