পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে যদি তারা সেনাবাহিনীকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে বা ইউক্রেনে মোতায়েন করে, তাহলে একে আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখবে রাশিয়া। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের দৃশ্যপট দ্রুত সামনে এগিয়ে আসছে না। তাই ইউক্রেনের যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তাও দেখছেন না তিনি। ৭১ বছর বয়সী পুতিন রাশিয়া-১ টেলিভিশন এবং বার্তা সংস্থা রিয়া’কে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সামরিক টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে অবশ্যই আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত মার্কিন বিশেষজ্ঞ আছেন। আমি মনে করি না পারমাণবিক যুদ্ধ দ্রুত এগিয়ে আসছে। তবে এর জন্য প্রস্তুত আমরা। ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি ও গভীর সঙ্কট সৃষ্টি করেছে ইউক্রেন। বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় পশ্চিমারা তাহলে তার মধ্য দিয়ে তারা একটি পারমাণবিক যুদ্ধকে উস্কানি দেয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
পুতিন বুধবার পশ্চিমাদের এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র তাহলে তাকে যুদ্ধে বড় রকম উস্কানি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। একইসঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য টেকনিক্যালি প্রস্তুত রাশিয়া। ১৫ থেকে ১৭ই মার্চ রাশিয়ায় নির্বাচন। তার মাত্র দু’দিন আগে এমন বক্তব্য দিলেন পুতিন। এই নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তার ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬ বছর বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য, এ নির্বাচনে যে তিনি জয়ী হবেন তা চোখ বন্ধ করে বলা যায়।
কারণ, পুতিনের সামনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বললেই চলে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালান। তার মধ্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করেন। পূর্ব ইউক্রেনে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং রাশিয়ানপন্থি ইউক্রেনিয়ান, রাশিয়ানদের প্রক্সি যুদ্ধের আট বছর পরে এই ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। কিন্তু সেই যুদ্ধের দুই বছর পরে ইউক্রেনের এক পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া।