সৎপিতার বিরুদ্ধে ২০ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সৎপিতা রাজু বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটির কাউখালী থানা পুলিশ। উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাগলীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজু উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের পাগলীপাড়া এলাকার মৃত জয়লাল তঞ্চঙ্গ্যা ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর পূর্বে ভিকটিমের বাবার সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ায় মা রাজুর সঙ্গে ফের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। মেয়ের বয়স ১৩ হওয়ার পর থেকে লম্পট সৎপিতার লালসার শিকার হয়। এরপর ঘটনা প্রকাশ করলে মাকে হত্যার হুমকি দেয় রাজু। নানা সময় পাশবিক নির্যাতন চালায় ওই নরপশু।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা জানান, তার মেয়েটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন প্রথম ধর্ষণের শিকার হয়। মেয়েটি ওই ঘটনার পরদিন মাকে জানায়, মা অভিযুক্ত ধর্ষক পিতাকে জানালে উল্টো মারধর করে। এরপর মাঝে মধ্যেই মদ পান করে সৎপিতা রাজু মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতো। ওই প্রস্তাবের বিষয়ে মাকে জানালে বিষয়টি দেখবে বলে জানায়।
কিন্তু মা হয়ে তিনি মেয়ের ইজ্জত রক্ষা করতে পারেননি। উল্টো বিভিন্ন সময় মারধরের শিকার হন। গত ১০ই ফেব্রুয়ারি রাতে পুনরায় মদ খেয়ে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি মাকে জানায়। এতে রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে মেরে কান কেটে দেয়। মাকেও মারধর করে। এসময় মা-মেয়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় পাড়ার কার্বারী লক্ষী কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে বিচার দেন।
বুধবার রাতে কারবারি আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে খবর আসে- ধর্ষণের ঘটনাটি মারধরের ঘটনা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। দুর্গমপাহাড়ি এলাকা হওয়াতে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় কাউখালী থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে লম্পট পিতাকে গ্রেপ্তার করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী জানান, মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক সৎ পিতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। আমরা অভিযুক্তকে আদালতে পাঠিয়েছি।