নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য । সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হলে সেখানে সভাপতি করা হবে সাবের হোসেন চৌধুরীকে আর সম্পাদক হবেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। বিষয়টি নজরে এলে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাজপুত্র।
বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নোংরা ও পচা রাজনীতিতে আমার আগ্রহ নেই।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে পিনাকীর সেই স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়ে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
পিনাকীর বক্তব্যকে সরাসরি খারিজ করে দিয়ে সোহেল তাজ লিখেছেন- ‘ভুয়া- Fake news!
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয় আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হলে নেতৃত্ব দেবেন কি না—জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে কারও সঙ্গে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না।
তাজপুত্র বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে হলে একাত্তরের আগের আদর্শে ফিরে যেতে হবে।
নতুন করে নতুন দল নিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসবেন কি না জানতে চাইলে এ সময় সোহেল তাজ সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মই দেশ গড়বে। তারাই হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক। নতুন প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পিওর হার্ট নিয়ে দেশ গড়তে এগিয়ে আসে, তবে তাদের পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা আর জনগণের নীতি-আদর্শভিত্তিক দল ছিল আওয়ামী লীগ। বাকশালে সেই আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর বডি সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক এইভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে। এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। এইটাই বিএনপি, ভারত ও ওয়াকারের যৌথ সিদ্ধান্ত। এতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের সমর্থন আছে।
তিনি আরও বলেন, এই কারণেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে জেলে রাখা যায় নাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিপ্লবীদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তারা বিভক্ত হতে হতে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। যারা ১৯৭৫ এর বেনিফিসিয়ারি তারা বিপ্লবীদের বাঁচায় নাই। একাংশ রাজনৈতিক দল তৈরি করলো ফ্রিডম পার্টি। আরেক অংশ খন্দকার মুশতাককে মাঝে রেখে দল গড়তে চাইলো। পারলো না। মুশতাককে প্লেট চুরির মামলায় জেলে দেওয়া হলো। হাসিনা ফিরে এলো।
এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ২০২৪ সালে আবার ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সেই একই ব্যবস্থা সেই একই কাঠামো অবিকৃত রেখে রাষ্ট্র চলবে। লুটপাট চলবে, ভারতের কর্তৃত্ব চলবে। ২৪-এর নায়কেরা ভুল আর বিভেদের পঙ্কিল আবর্তে ডুবে যাবে। এখন শুরু হয়েছে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে লড়িয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমি হাল ছাড়ি না। যতদিন বেঁচে আছি, বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেব না। ১৯৭৫-এর পুনরাবৃত্তি হতে দেব না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বা ভারতীয় আধিপত্যবাদ ফিরবে না; যতই তার পেছনে ওয়াকার থাকুক, সিভিল মিলিটারি বুরোক্রেসি থাকুক, প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার থাকুক আর বিএনপি থাকুক।’
এই ব্লগার আরও বলেন, ছাত্রদের ক্ষমতা এখন সীমিত। ব্যাপকভাবে চলছে ছাত্রদের চরিত্রহনন। ছাত্রদের উপলব্ধি হওয়া দরকার ছিল তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ লিখে ফেলেছিল ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে। তারা যাদের ওপরে নির্ভর করেছিল। যাদের মিষ্টি কথায় ভুলেছিল, তারাই এখন চোখ উলটে দিয়েছে। আরও একবার আরেক সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে।
সবশেষে পিনাকী বলেন, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
