সিলেট প্রথমবারের মতো তিনজন শিশু হৃদরোগীর (৬ মাস থেকে ১৮ বছর) দেহে ডিভাইস বসানো হয়েছে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এ ডিভাইস লাগানো হলো। শনিবার (৩০ নভেম্বর) মোট ৩ জন শিশুর শরীরে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এ.এস.ডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভি.এস.ডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পি.ডি.এ (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস)-র চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।
তিনজন রোগীর মধ্যে ২ বছরের, আড়াই বছরের এবং ১ জন ৭ বছরের শিশু রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ ৫ জন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো হবে। এ কার্যক্রম হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগের আয়োজনে এবং শিশু মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি লন্ডনের ‘মন্তাদা এইড’ এবং ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সার্বিক কারিগরি সহায়তায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। দু’দিনব্যাপী এ কার্যক্রম শনিবার শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, এ অপারেশনে হাসপাতালের ক্যাথল্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের এই চিকিৎসায় যে-কোনো ধরনের সহযোগিতা আমরা আমরা বদ্ধপরিকর।
কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
