প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সমর্থকের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাল সূর্যাস্তের সময় থেকে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ থেমে যাবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার একদিন আগেই রোববার (১৯ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে এক সমাবেশে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
ট্রাম্প বলেন, ৭৫ দিন আগে আমরা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক আন্দোলন। আমাদের দেশ কখনও এমনটা দেখেনি। আগামীকাল থেকে আমি ঐতিহাসিক শক্তি প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের দেশের প্রতিটি সংকটের সমাধান করব।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, তিনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে তৎপরতা শুরু করবেন। তার এমন পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হতে পারে। তবে তিনি যেভাবে চাচ্ছেন সেভাবে অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাতে গেলে কয়েক বছর লেগে যাবে ও খরচও অনেক বেশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই ট্রাম্পের অভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ উপলক্ষে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনজুড়ে।
এদিকে হোয়াইট হাউজের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প তার প্রথম দিনে ২০০টিরও বেশি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এতে সীমান্ত নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে। তিনি মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, মাদকচক্রকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করাসহ নানা নীতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেবেন।
শপথ নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে এ ক্ষেত্রে ছয় মাস সময়ের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া অভিবাসন সংক্রান্ত ট্রাম্পের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ও নাগরিক পরিবারের সঙ্গে থাকা অনেক অভিবাসীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
প্রায় ১৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। ট্রাম্প এই সাংবিধানিক অধিকারকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন। তাই প্রথম দিনই এই আইন বাতিলের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স