প্রবাসে লোক পাঠানোকে কেন্দ্র করে আব্দুল আহাদ (৩৫) নামে এক যুবককে মুগর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।নিহত আব্দুল আহাদ ঐ গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার পুত্র। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ী পূর্ব দাওয়াদারী গ্রামে।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম ও স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় দু’মাস পূর্বে একই বাড়ির ফয়জুর রহমানের পুত্র সুমনকে কাতারে নিয়েছিলেন পাশের মইনা গ্রামের মাহতাব নামের এক কাতার প্রবাসী।
আব্দুল আহাদ নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হত্যাকারীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা ও থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার একদল পুলিশ নিয়ে বিকেল ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান।
থানা পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।
সুমনকে প্রবাসে পাঠানোর কথাবার্তা মধ্যখানে ছিলেন আব্দুল আহাদ। বর্তমানে ঐ কাতার প্রবাসী মাহতাব দেশে ছুটিতে রয়েছেন। সুমন প্রবাসে যাওয়ার পর কথা অনুযায়ী কাজকর্ম না পাওয়ায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
এ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় সুমনের পিতা ফয়জুর রহমান ও তার ছেলে রুবেল আহমদ, আব্দুল মতিন মিলে মধ্যস্থতাকারী আব্দুল আহাদের ঘরে যান।
আব্দুল আহাদ কাতার প্রবাসী মাহতাবের সাথে কথা বলে সুমন যাতে প্রবাসে কাজ পায় তার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান।
কিন্তু সুমনের পিতা ও ভাইয়েরা উত্তেজিত হয়ে আব্দুল আহাদকে ঘর থেকে বাহিরে এনে একই বাড়ির সালাহ উদ্দিনের বসত ভিটায় মাথায় মুগর দিয়ে স্বজোরে আঘাত করলে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন আব্দুল আহাদ।
পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল আহাদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পথিমধ্যে আব্দুল আহাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।