ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাওর বিল খালে জলাশয় ইজারার শর্ত ভঙ্গ করা হচ্ছে। বিলে সেচ মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনটি গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নিবর ভুমিকা ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে সাব লিজ দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে মাছ ধরছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর লোকজন। তাদের লিখিত অভিযোগ গত ২২ সালে ৮ নভেম্বর মাসে মিজানুর রহমান চৌধুরী,রফিজ আলী,ইউসুফ আলী,নুরুল হক সিরাজ আব্দুল আহাদ চৌধুরী,হাবিবুর রহমান,বিল্লাল হোসেন আবু সুফিয়ান সুহেল আহমদ,সালাহ উদ্দিন চৌধুরী রাহাতসহ তিনশতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবাহী কর্মকতা বরাবরে। এসব অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে নিয়মনীতিকে ভঙ্গ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিলের পানি শুকিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়,গত ২২ সালে ৯জুন মাসে এই বিলের ইজারা নেন কুরিয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেড সহ সভাপতি,উপেন্দ্ৰ বিশ্বাস নামেই। এ মৎসজীবি সমিতির কাছ থেকে গোপনে বাশখলা গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে শাহ আলম ও একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মুশাহিদ আলীসহ ১২জন ব্যক্তি সাব লিজ নিয়েছেন। যারা লীজ নিয়েছে তারাসহ সমিতির মানুষ মিলেই বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরার কাজ চালিয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করেই।
জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ ধারাকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে নগদ টাকার বিনিময়
মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেড সহ সভাপতি,উপেন্দ্ৰ বিশ্বাসের কাছ থেকে শর্ত ভঙ্গ করে সাব লিজ দেয়।
৩০টি শতাবলীর মধ্যে ১৪টি নিয়মনীতি লঙ্গন করেছেন ইজারাদার উপেন্দ্ৰ বিশ্বাস। একদিকে যেমন মাছের বংশ বিস্তার ধবংস করছেন,অন্যদিকে জলাশয়ের তলদেশ শুকিয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ও ঘটানো হচ্ছে। মাছ ধরতে বিলের পানি শুকিয়ে ফেলার ঘটনায় প্রায় ৩শত একর জমির বোরো ফসল রক্ষা করতে পানির জন্য কৃষকরা দিশেহারা চাষিরা।
এ অনিয়ম দুনীতির ঘটনায় গত ১২ মার্চ বিলের পানি মেশিন বসিয়ে মাছ ধরার লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাকাসীর পক্ষে রহমত আলী।
তার অভিযোগে বাশখলা গ্রামের সামছু মিয়া,শাহ আলম,মানিক মিয়া,মুশাহিদ আলী,রাজিবসহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ঘটনায থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি ২টি সেচ মেশিন বন্ধ করে দেয়ার কয়েক ঘন্টার পর আবারো চালু করেন সাব ইজারাদার শাহ আলম।
ইজারাদার ও সাব ইজারাদারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক,উপজেলা নিবাহী কর্মকতা,থানায় সহ বিভিন্ন দপ্তরে উপজেলার ছাতক ইউপির ব্রাক্ষন গাও গনক্ষাই নোয়াগাও মাছখালী গ্রামের সাড়ে তিন শতাধিক কৃষক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা ও সামান্যটুকু পানি প্রয়োজন, খাল-বিল ও নদীর তলদেশে তাও রাখা হচ্ছে না।
ছাতক সদরে বাশখলা গ্রামের শাহ আলমের নেতৃত্বে তারা বিলের চারপাশ শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। সেচ মেশিনচালিত লোহার মোটা পাইপ বসিয়ে বিলের তলদেশে থাকা পানি শুকানোর কাজ চলছে কয়েকদিন ধরেই। এ যেন মাছের বংশবিস্তার রোধসহ পরিবেশ দূষণের অবাধ তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এব্যাপারে মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান,তারা বিলের পানি শুকিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মাছ ধরা অব্যাহত আছে।
এব্যাপারে কুরিয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেড সহ সভাপতি,উপেন্দ্ৰ বিশ্বাস সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে এস আই গোলাম ফাতাহ চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন রহমত আলীর দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ পানির মেশিন বন্ধ করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকতা ও উপজেলার নিবাহী কর্মকতা মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।