রাতের আধারে জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে চিপ-বালু পাথর ড্রেজার মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক উত্তোলন করছেন বিএনপির বহিষ্কার নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ আলম স্বপন ও তার চাঁদাবাজ লুটপাট সন্রাসী বাহিনী।
ঐসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলোয়ার,উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ,পূর্ব জাফলং ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ,পূর্ব জাফলং ছাত্র দলের সভাপতি আজির উদ্দিন,পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক উসমান,ছাত্রদল সভাপতির বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন,ইসলাম উদ্দিনরা।
এলাকাবাসী ও শ্রমিকরা বলছেন শাহ্ আলম স্বপন ও তার গুন্ডা চাঁদাবাজ লুটপাট কারি বাহিনীর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আমরা এই লুটতরাজ বাহিনীর ভয়ে কোনো কথা বলতে পারছি না।তার কারণ যেই চাঁদাবাজ লুটপাট বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলে তার উপর সন্রাসী হামলা চালানো হয়। এই কিছু দিন আগে পাথর লুটপাটের প্রতিবাদ করায় এবং পাথর লুটপাটের সাথে সরাসরি জড়িত শাহ্ আলম স্বপন এর ভাগনা ছাত্র দলের সভাপতি আজির উদ্দিন ও তার বড় গিয়াস উদ্দিন,ছাত্র দলের সুমন, শিকদার,পারভেজ,হেলোয়ার,ইউসুফ এর নামে শ্রমিকদের জবানবন্দির রেকর্ড কৃত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য সন্রাসী হামলা চালানো হয় আরেক যুব দল নেতা ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের উপর। ঘটনাটি ঘটেছে মামার বাজার শামীম পারভেজ এর মার্কেটের সামনে। জাফলংয়ের বারকি শ্রমিকদের বলেন আমাদের নিরীহ গরিব মানুষের পেটে লাতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসন বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ করে রেখেছে।
আর ঐদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ আলম স্বপন তিনি তার চাঁদাবাজ লুটপাট বাহিনী দিয়ে রাতের অন্ধকারে বালু পাথর লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছেন এটা কেমন করে সম্ভব। এটা অন্যায় জুলুম করা হচ্ছে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে। যেমন টা করেছিলো আওয়ামীলীগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের চাদাঁবাজ লাইন সিন্ডিকেট বাহিনী। শাহ্ আলম স্বপন ও তার গুন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার যেন কেউ নেই?
আমরা জানি শাহ্ আলম স্বপন বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকেও অপসারিত হয়েছেন।তারপরও তিনি কিভাবে বিএনপির নামে এইরকম পাথর ও বালু লুটপাট কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন,আমাদের বুঝে আসেনা। আমরা কি মনে করবো। শ্রমিকদের পক্ষে শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টের কথা শুনার বা বলার মতো কোন যোগ্য নেতা জাফলংয়ে নেই। আমরা সাধারণ বারকি শ্রমিক হাত দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে সেটা অবৈধ হয়ে যায়,আমাদের নৌকা ভাংচুর করা হয়,আমাদের গ্রেফতার করা হয়। অথচ শাহ্ আলম স্বপন ও তার চাঁদাবাজ বাহিনী রাতের অন্ধকারে ডেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করলে সেটা লিগ্যাল হয়ে যায়।
এটা কোন ধরনের জুলুম। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইউনো সাহেব আর শাহ্ আলম স্বপন ও তার চাদাঁবাজ লুটপাট কারি সন্রাসী বাহিনী মিলে কোটি কোটি টাকা দূর্নীতি করে নদী থেকে নিয়ে যাচ্ছে। এই পাথর লুটপাট কারি চাঁদাবাজদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সাংবাদীকদের বলতেছি অতিদ্রুত এদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। সরকার বাহাদুরের কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি দয়া করে জাফলং নদী থেকে সবধরনের চাঁদাবাজী বন্ধ করার জন্য,আমরা সাধারণ বারকি শ্রমিকরা চাচ্ছি জাফলং এ বালু উত্তোলন হউক দিনের বেলায়,সম্পূর্ণ শ্রমিকের হাতের দ্বারা।কোনো মেশিন দারা যেন না হয়। শাহ্ আলম স্বপনের পিএস যুবদল কেডার হেলোয়ার,ছাত্র দল কেডার ইউসুফ,ছাত্র দল কেডার আজির,যুব দল কেডার গিয়াস,ছাত্র দল কেডার উসমান এদের দারা নিরীহ বারকি শ্রমিক ও ব্যাবসায়ীরা বার বার নির্যাতিত হচ্ছি। জাফলং ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের একটি আকুল আবেদন সিলেট জেলা বিএনপি ও সিলেট জেলা যুব দল,সিলেট জেলা ছাত্র দল,গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি,গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদল,গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্র দলের নেতৃবৃন্দর কাছে এই চাঁদাবাজ লুটপাট কারি শাহ্ আলম স্বপন তার সন্রাসী বাহিনীর কবল থেকে আমাদের বারকি শ্রমিকদেরকে বাচান। সেই সাথে মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার ও মাননীয় জেলা প্রশাসকের মহোদয়কে বলছি,গোয়াইনঘাটের ইউনো সাহেব জাফলং নদীতে যে আনসার বাহিনীকে নিয়োগ দিয়েছেন, সেই আনসার বাহিনী সব দেখেও কেন শাহ্ আলম স্বপন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একশন নিচ্ছে না। তাহলে অবশ্যই এই আনসাররা এই চাঁদাবাজ পাথর ও বালু লুটপাট কারিদের সাথে মিলিত হয়ে লুটপাট করছে। পাথর ও বালু পাহাড়ার দায়িত্ব পেয়ে আনসাররাও দেখা যায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার পর থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ লুটপাটের বালু ও পাথর পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে স্থুপ করে রাখা হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতি দিন পেলোডার দিয়ে ট্রাক গাড়ীতে বিক্রি করছেন,শাহ্ আলম স্বপন,মিজানুর রহমান হেলোয়ার,ইউসুফ আহমেদ,হাসান আহমেদ,আজির উদ্দিনরা।