দিনের প্রথম নামাজ ফজর। এটি আদায় করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর পরবর্তী সময়ও অনেক বরকতময়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফজরের নামাজের পর বিভিন্ন আমলের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে বসে যিকির ও ইবাদতে সময় কাটাতেন।
নিম্নে ফজরের নামাজের পর কিছু ফজিলতপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো:
১. আয়াতুল কুরসি পাঠ
ফজরের নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে জান্নাতে প্রবেশের পথে একমাত্র অন্তরায় হবে মৃত্যু।
হাদিসে বলা হয়েছে:
‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫)
২. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া
প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৯)
দোয়াটি হলো:
رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً
উচ্চারণ: রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ, ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।
৩. সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ
এই ইস্তিগফারটি নিয়মিত পাঠ করলে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে আছে:
‘যদি কেউ সকাল ও সন্ধ্যায় এই ইস্তিগফার পাঠ করে এবং ওই সময়ের মধ্যে মারা যায়, সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)
আরবি পাঠ:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ…
(পূর্ণ দোয়া মূল লেখায় দেওয়া আছে)
৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
দোয়া:
اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার।
হাদিসে বলা হয়েছে:
‘যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার এ দোয়া পাঠ করে এবং ওই সময়ের মধ্যে মারা যায়, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯)
৫. সুরা ইয়াসিন ও সুরা ইখলাস পাঠ
সকালবেলা সুরা ইয়াসিন পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে,
‘যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার জন্য দশবার কুরআন খতমের সওয়াব লেখা হয়।’
আর,
‘তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করলে একটি কুরআন খতমের সওয়াব লাভ হয়।’