
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন,ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই অনুষ্ঠিত হবে । এ নির্বাচন ঘিরে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব মিলিয়ে ৯ দিন জোর তৎপরতা চলবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এর মধ্যে নির্বাচনের ৫ দিন আগে থেকে শুরু হবে বিশেষ অভিযান।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিরাপত্তা পরিবেশ, মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি, জননিরাপত্তা এবং পর্যটন অঞ্চলগুলোর বিশেষ নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সকল প্রস্তুতি কার্যত সম্পন্ন। মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেয়া হবে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
নির্বাচনের আগে বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালনা করা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে ৯ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে নামবে। নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন ও নির্বাচনের দিনসহ পরবর্তী আরও তিন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে । ইলেকশনের আগের পাঁচ দিন বড় ধরনের কার্যক্রম চলবে। বর্তমানে মাঠে আছে ৩০ হাজার সেনাবাহিনী। ওই সময় ১ লাখের মতো সেনাবাহিনী, ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ, ৩৫ হাজারের মতো বিজিবি, ৫ হাজার নৌবাহিনী, ৪ হাজার কোস্টগার্ড, ৮ হাজার র্যাব এবং প্রায় সাড়ে ৫ লাখ আনসার মাঠে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহের কোনও সুযোগ নেই। নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তিনি কোস্টগার্ড বেইজ পরিদর্শন করেন। উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সমুদ্রপথে অপরাধ প্রতিরোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এরপর দুপুর দেড়টায় পটুয়াখালী পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, নিবারণমূলক টহল, নৌপথের নিরাপত্তা এবং সাইবার নজরদারির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দিকনির্দেশনা দেন।