গোপালগঞ্জের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছায়া সুনিবিড় ছোট্ট একটি গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়া। গ্রামটির কোল বেয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতী নদী। এ গ্রামেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মেছিল এক শিশু। ছোটবেলায় মা-বাবা আদর করে তাকে ডাকতেন খোকা বলে। ছোট্ট গ্রামের এই ছোট্ট খোকা একদিন হলেন বাঙালির বড় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। অবশ্য নামটি রেখেছিলেন তার মাতামহ। আর শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সব শেষে জাতির পিতা।
আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মরণে ১৭ মার্চ ২০২৩( শুক্রবার )কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে, সকাল ১০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং দোয়া মোনাজাত সহ বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার। ৬০ নং লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, প্রধান শিক্ষক। পান্ডুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, প্রধান শিক্ষক।কুয়াকাটা পৌর প্যানেল মেয়র, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মনির শরীফ, মোঃ শহীদ দেওয়ান, কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড।মোঃ মুজিবুর রহমান মজিব,কাউন্সিলর ৬নং ওয়ার্ড, এছাড়া সংবাদকর্মী স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। কুয়াকাটার পৌর মেয়র, তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুকাল থেকেই ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং প্রতিবাদী। অন্যায়কে কখনোই তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। তিনি ছিলেন একাধারে সাহসী, নি:স্বার্থ, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়ীক, উদার, লক্ষ্য ছিল স্বাধীন করবে বাংলাদেশ, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবেন সোনার বাংলাদেশ। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছে, তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের জোয়ারে বিশ্বের দরবারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছে। তিনি আরো বলেন, এরকম মহান মানুষের জন্মদিন পুরো জাতির জন্যই গৌরবের ও আনন্দের। আলোচনা শেষে কুয়াকাটা পৌরসভার নিজস্ব ইমাম দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করে, এবং জন্মদিনের কেক কাটা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।