বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে তিনি ছিলেন নির্লোভ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ।
প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) এ উপলক্ষে প্রবর্তক সংঘের সভাপতি ও প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দুনন্দন দত্তের সভাপতিত্বে এক আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, প্রবর্তক সংঘের সম্পাদক ডা: শ্রী প্রকাশ বিশ্বাস ও গভনিং বডির সদস্য ঝুলন বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনোজ কুমার দেব। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক প্রভাষক মুক্তা দত্ত এবং সঞ্চালনা করেন প্রভাষক সুচিত্রা চৌধুরী ।
পরে লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশাল এর পরিচালনায় এবং কলেজ শাখার বিজ্ঞান ক্লাবের সহযোগিতায় বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা সেবার আয়োজন করা হয়। এতে ৬০০ জন রোগীকে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উত্তরণের জন্য মনোনিবেশ করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও অদম্য সাহসী রাজনীতিবিদ, যিনি একাধারে বিশ্বমানবতার প্রতীক এবং মুক্তিকামী মানুষের নেতা। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ, বিজয় পতাকা, এবং পরিপূর্ণ দলিল হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর চেতনা, আদর্শ ও দর্শন নবীনদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের এই সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে নবপ্রজন্মকে প্রত্যয়ী হতে হবে।
সবশেষে তথ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনীর উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।