বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি পরবর্তীতে নিম্নচাপ, এরপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।সোমবার (২১ অক্টোবর) ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
তেমন হলে ঝড়টির নাম হবে ডানা। নামটি কাতারের দেওয়া।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশের অংশের সুন্দরবনেও আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ডানার ডান অংশ। যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ডান পাশেই থাকে সবচেয়ে বেশি শক্তি। বড় জলোচ্ছ্বাসও এপাশেই হয়।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী মনিকা শর্মা জানিয়েছেন, বুধবার (২৩ অক্টোবর) এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর পরের দিন এটি ওড়িষা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে। একই দিন রাতে এবং ভোররাতে এটি পুরি এবং সাগরদ্বীপের মাঝ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।