বন্দরবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও পথচারীদের হাতে নকল স্বর্ণ দিয়ে প্রতারণা চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মধুবন মার্কেটের সামনে একটি অটোরিকশা এসে যাত্রী তোলার জন্য হাক-ডাক শুরু করে। এসময় গাড়িতে ৩ জন যুবক বসা ছিলেন। কিন্তু গাড়িটি ওই স্ট্যান্ডের না থাকায় এখানের লাইনম্যান রুবেল আহমদ অটোরিকশাচালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এক যুবক দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় পথচারী ও সেখানে থাকা অন্য অটোচালকদের সহায়তায় ৩ জনকে আটক করেন লাইনম্যান।
আটকরা হলেন- চাঁদপুর সদর মতলব উত্তর থানার নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার লায়েক আহমদ ও সুনামগঞ্জের নুর হোসেন। আর পালিয়ে যাওয়া যুবকের নাম নবী নূর। তিনি দক্ষিণ সুরমায় থাকেন আটকরা জানিয়েছেন।
প্রতারকদের অটোরিকশাটি জব্দ করেন জনতা। আটকদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। পুলিশকে এ বিষয়ে কিছু জানানোও হয়নি।
আটকের পর ৩ জনকে জিন্দাবাজার (মুক্তিযোদ্ধা গলি) অটোরিকশা স্ট্যান্ড কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা জানান- তারা স্বর্ণসদৃশ্য পিতলের টুকরো দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত। সহজ-সরল যাত্রীকে টার্গেট করেন। গাড়িতে উঠলে তাদের একজন যাত্রীর স্বর্ণসদৃশ্য পিতলের টুকরোটি আসল স্বর্ণ বলে প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রি করেন। তাদের বেশি টার্গেট থাকে বৃদ্ধ অথবা নারী।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন বলেন- যারা ধরেছে তাদের উচিৎ ছিলো ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জাননো। আমাদের কাছে এখনো কাউকে সোপর্দ করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিলেট মহানগরে অটোরিকশাযোগে বেড়েছে অপরাধ। সাধারণ যাত্রীরা অটোরিকশায় উঠে ছিনতাই, প্রতারক ও মলম পার্টির কবলে পড়েন। সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সিলেটে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন কিছু অটোরিকশাচালক। এ অবস্থায় অভিযুক্ত অটোরিকশাচালকদের চিহ্নিত করে তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সিলেটের অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নিয়েছেন উদ্যোগ। কয়েক দিন আগে সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ নির্দেশন দেন- প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার ও সদস্য-চালকরা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন এবং সন্দেহভাজন কোনো চালককে দেখলেই আটক করেন। এই নির্দেশের পর গত মঙ্গলবার মেজরটিলা থেকে এমন সন্দেহজনক দুজনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।