পুলিশ কমিশনার ও ডিসি দক্ষিণের তৎপরতায় বন্ধ হলো হারুনের আলোচিত সেই জুয়ার আসরটি। এসএমপি নবাগত কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বিপিএম (বার)-পিপিএম ও দক্ষিণের ডিসি সোহেল রেজা, ডিবি ডিসি ও দক্ষিণ সুরমা থানার নবাগত ওসির তৎপরতায় কদমতলী ফেরিঘাটে মেম্বারের কলোনীতে হারুনের জুয়ার আসরটি বন্ধ হয়ে গেলো।
স্থানীয়রা জানান, এসএমপির কোন কর্মকর্তাই হারুনের সেই জুয়ার আসর বন্ধ করতে পারেননি কোন দিন। পুলিশী অভিযানের আগে খবর চলে যেতো হারুনের কাছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সাদা পোষাকে পুলিশ হানা দেয় হারুনের জুয়ার আস্থানায়। গুড়িয়ে দেয় জুয়ার সকল উপকরণ। দিক-বেদিক ছুটে যায় জুয়াড়ীরা। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনী আশেপাশে অবস্থান করছেন।
জনশ্রুতি ছিলো, এসএমপির ডিবিতে কর্মরত সাবেক এক কর্মকর্তার মদদেই জুয়ার জগতে হারুন অপ্রতিদ্বন্ধি হয়ে উঠে। দক্ষিণ জোনের ডিসি সোহেল রেজা বারবার সাবেক দক্ষিণ সুরমা থানার ওসিকে হারুনের জুয়ার আসরটি বন্ধের জন্য নির্দেশ দিলেও দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ বা কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি কেউ তাঁর নির্দেশনা পালন করেননি। হারুনের জুয়ার স্পটটি টিকিয়ে রাখতে এসএমপি সদর দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখছেন কদমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই আমিনুল ইসলাম। কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় হারুনের আলোচিত জুয়ার আসরটি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর অনুমান ১২টার দিকে সাদা পোষাকে এবং কদমতলী ফাঁড়ির পুলিশ হারুনের জুয়ার আস্থায়নায় অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসরটি বন্ধ করে দেয়। এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ জোনের ডিসি সোহেল রেজার চাপে হারুনের জুয়ার স্পটে অভিযান চালিয়ে চার জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ।