বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সমন্বয়ক, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইওএম চিফ অব মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ডাব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনআরসিও হিউম্যান্টেরিয়ান অ্যাফেয়ার অ্যাডভাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কক্ষে এক ব্রিফিং-এ এ কথা জানান তিনি।
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে এসেছে জানিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, আজ ইউএন (জাতিসংঘ) বডির আটটি নানা রকমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভা করেছি। তারা পুনর্বাসন কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বন্যার সময়ে সেনাবাহিনী ও জনগণের উদ্দীপনা, ত্রাণ কার্যক্রম, স্বেচ্ছাসেবা এবং অভূতপূর্ব সহযোগিতার জন্য দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা প্রশংসা করেছেন বলেও জানান তিনি।
ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, আমরা বন্যার ত্রাণ পর্যায়টা অতিক্রম করে পুনর্বাসন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ খুব দ্রুত চলছে। মাঠ পর্যায়ে থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর কোন কোন বিষয়ে তারা সহযোগিতা দিতে পারেন সেটা আমরা নির্ণয় করে দিলে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আশাবাদী যে, আমরা দুর্যোগ যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় অতিক্রম করতে পেরেছি, আমরা ভবিষ্যতে পুনর্বাসন কর্মসূচিও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।
ত্রাণ বিতরণে অব্যবস্থাপনা আছে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনা যে একেবারে হয়নি সেটা তো নয়। তবে আমরাও শিখছি।
উপদেষ্টা বলেন, ডি-ফরমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হয়। আমরা সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলেছি।